মানিকছড়ি উপজেলার মৌজা প্রধানের নামের তালিকা
১। মিসেস ইম্রাচিং সাইন,হেডম্যান,২০৮ নং মানিকছড়ি মৌজা, | ০১৮১৮৭৫৫৩৮৮ |
২। বাবু কংজরী চৌধুরী, হেডম্যান, ২১০ নং যোগ্যছোলা মৌজা, | ০১৮১২৮১৮০১৪ |
৩। বাবু উগ্যজাই চৌধুরী, হেডম্যান, ২১১ নং ডাইনছড়ি মৌজা, | ০১৫৫২৩৭০৫৩১ |
৪। বাবু মংমং চৌধুরী, হেডম্যান, ২১৪ নং ডুলু মৌজা, | ০১৮১১৫৯৩৯৬৮ |
৫। বাবু যতীন্দ্র লাল চৌধুরী, হেডম্যান, ২২১ নং মম্প্রম্নতলীমৌজা, | ০১৭৪১১২৬৯৪৮৩ |
৬। বাবু নিপ্রম্নসাইন, হেডম্যান, ২২২ নং রাংগাপানি মৌজা, | ০১৭১৫২৮৯১৬৮ |
৭। বাবু মংচিনু চৌধুরী, হেডম্যান, ২২৪ নং কুমারী মৌজা, | ০১৭৪১২৬৯৪৮৩ |
৮। বাবু গংব্রা চৌধুরী, হেডম্যান, ২৩০ নং বাটনাতলী মৌজা, | ০১৮১১৯৮৬১৮৩ |
৯। বাবু রিপ্রম্নচাই চৌধুরী, হেডম্যান, ২৩১ নং কালাপানি মৌজা, | ০১৮৪৯৮৮৫৮৭৫ |
১০। বাবু ক্যজচাই চৌধুরী, হেডম্যান, ২৩২ নং ছদুরখীল মৌজা, | ০১৫৫৬৬৪৪৩৪৯ |
১১। বাবু থোয়াইচিং চৌধুরী, হেডম্যান, ২৩৪ নং চেম্প্রম্নপাড়া মৌজা | ০১৫৫৩৬৬৯৬৩৯ |
মৌজাগঠন/সৃষ্টি ও হেডম্যান নিয়োগ প্রথা
১.৮ মৌজা গঠন ও হেডম্যানপদঃ১৮৯২ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪নং বিধিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩৩টি তালুককে ১.৫ থেকে ২০ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে মৌজায় বিভক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এই বিধি মোতাবেক মৌজা ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। ১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৩৭নং বিধিতে তিনজন রাজার ৩টি সার্কেলকে মৌজায় বিভক্ত করার পুনঃ বিধান করা হয়। সেই একই বিধিতে প্রত্যেক মৌজায় একজন করে মৌজা প্রধান(হেডম্যান) নিয়োগের বিধান রাখা হয়। তিন পার্বত্য জেলার তিনটি সার্কেলে বর্তমানে ৩৯০টি মৌজায় বিভক্ত১৪।
১.৯ হেডম্যান নিয়োগ পদ্ধতিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪৮নং বিধিমতে সার্কেল চীফের (রাজা) সাথে পরামর্শ করে ডেপুটি কমিশনার মৌজা হেডম্যান নিয়োগ করবেন, যদিও পরামর্শ গ্রহণ এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়। তবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে তাঁর পরামর্শ বিবেচনার দাবী রাখে। হেডম্যান পদটি বংশানুক্রমিক নয়। তবে হেডম্যানের উপযুক্ত পুত্র হেডম্যান পদে নিয়োগ লাভের বেলায় অগ্রাধিকারের দাবী রাখেন।
১.১০ হেডম্যানের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
ক. ১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৩৮নং বিধিতে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মৌজা হেডম্যান নিষ্ঠার সাথে তার মৌজার জন্য নির্ধারিত খাজনা আদায় করবেন এবং মৌজার বকেয়া খাজনার হিসাব রাখবেন। তিনি ডেপুটি কমিশনার, মহকুমা প্রশাসক (বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার) এবং সার্কেল চীফ এর আদেশ মেনে চলবেন। তিনি তার মৌজায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন এবং মৌজাস্থিত গ্রামসমূহের চাষাবাদে আয়তনের কোনো পরিবর্তন ঘটলে তৎসম্পর্কে ডেপুটি কমিশনারকে অবহিত করবেন।
খ. ১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪১নং বিধিমতে হেডম্যান তাঁর মৌজায় জুম চাষ নিয়ন্ত্রণ করবেন। ৪২নং বিধিমতে তাঁর মৌজায় বসবাসকারী জুমিয়া জমির মালিকদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করবেন। তিনি পরিবার প্রধানের নাম ও সদস্য সংখ্যা, খাজনা পরিশোধকারী কিংবা খাজনা পরিশোধে অব্যাহতি প্রাপ্ত নতুন বা পুরাতন পরিবার ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত একটি জুম তৌজি (জুমিয়ার তালিকা) প্রস্তুত করে প্রত্যেক বছর ১লা জুনের আগে সার্কেল চীফ তথা রাজার কাছে দাখিল করবেন, যা ১লা আগষ্টের আগে ডেপুটি কমিশনারের কাছে রাজাকে দাখিল করতে হবে। হেডম্যানের (খাজনার) দাবীর অন্ততঃ ৫০% রাজপূণ্যাহ্’র দিন এবং অবশিষ্ট অংশ পরবর্তী বছরের ১লা জানুয়ারীর মধ্যে সার্কেল চীফের কাছে পরিশোধ করবেন। হেডম্যান যদি মনে করেন যে, কোনো প্রজা জুম খাজনা প্রদান থেকে রেহাই পাবার জন্য অন্যত্র পালিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাহলে তিনি সেই প্রজার সম্পত্তি আটক করতে পারবেন এবং বিষয়টি সার্কেল চীফ ও ডেপুটি কমিশনারকে জানাবেন। যদি কোনো হেডম্যান অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা করেন, তাহলে সেই প্রজার অনাদায়ী খাজনার জন্য তিনি দায়ী হবেন। ৪৩ বিধিমতে হেডম্যান তাঁর সংশ্লিষ্ট মৌজার রাজস্ব আদায় করবেন। ৪৫ বিধিমতে তিনি ঘাস ও গর্জনখোলার খাজনা এবং ৪৫(বি) বিধিমতে গোচারণ ভূমির ট্যাক্স আদায় করবেন।
১.১১ মৌজার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দায়িত্বঃপার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪১(এ)নং বিধির বিধানমতে মৌজা হেডম্যান তাঁর মৌজার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে দায়বদ্ধ। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নিবেনঃ-
ক) কোনো মৌজাবাসীকে গৃহাস্থলী কাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে মৌজার বনজ সম্পদ, যথাঃ- বাঁশ, কাঠ, বেত ইত্যাদি অন্য কোনো মৌজায় অপসারণ এবং অনিবাসী ব্যক্তির দ্বারা অনুরূপ কোনো কিছু অপসারণের কাজে তিনি নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারবেন।
খ) মৌজাস্থ কোনো এলাকা/এলাকা বিশেষের বনজ সম্পদ সংরক্ষণের নিমিত্তে ঐ এলাকাকে জুম চাষের আওতামুক্ত ঘোষণা করতে পারবেন।
গ) যদি হেডম্যানের বিবেচনায় নবাগত কেউ জুম চাষ করলে পরবর্তী বছর মৌজাবাসীর জুম চাষে জমির সংকট দেখা দেবে বলে মনে হয় তাহলে তিনি তাঁর মৌজায় নবাগতদের জুম চাষ নিষিদ্ধ করে দিতে পারবেন।
ঘ) জুম চাষের জন্য ক্ষতিকর প্রতীয়মান হলে হেডম্যান তাঁর মৌজায় গোচারণ নিষিদ্ধ করে দিতে পারবেন।
১.১২ বসত বাড়ীর জন্য খাস জমি বন্দোবস্তী/দখলে রাখার অনুমতি প্রদানের ক্ষমতাঃ জেলা প্রশাসকের আনুষ্ঠানিক বন্দোবস্তী ব্যতিরেকে পৌর এলাকা বহির্ভূত মৌজায় মৌজা হেডম্যান তার মৌজার কোনো পাহাড়ি বাসিন্দাকে বসতবাড়ী নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ০.৩০ একর জমি ভোগ দখলে রাখার অনুমতি দিতে পারেন। তবে এসব বসতবাড়ীর জন্য দখলভূক্ত জমির হিসেব রাখার জন্য তাকে একটা আলাদা রেজিষ্টার তৈরী করে রাখতে হবে (বিধি নং- ৫০(১)।
১.১৩ ভূমিঃ সরকারী ভূমি বন্দোবস্ত, হস্তান্তর, বিভক্তি এবং পুনঃ ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মৌজা হেডম্যানের সুপারিশ প্রদানের ক্ষমতা (৩৪(১)(ii) বিধি)।
১.১৪ হেডম্যান অপসারণঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪৮নং বিধিতে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ডেপুটি কমিশনার যে কোনো মৌজা হেডম্যানকে অযোগ্যতা ও অসদাচরণের কারণে সার্কেল চীফকে জানিয়ে হেডম্যান পদ থেকে অপসারণ করতে পারবেন।
ব্যাখ্যাঃ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর গ্রাম বা পাড়া পর্যায়ের কার্বারী পদ চাকমা সমাজেও প্রচলিত রয়েছে। যদিও পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধিতে কার্বারী নিয়োগের উল্লেখ নেই, তবে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে কার্বারী পদের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কার্বারীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে পার্বত্য জেলা পরিষদ অদ্যাবধি কোনো বিধি বিধান প্রণয়ন করেনি১৫।
১.১৫সার্কেল চীফ ও হেডম্যানের বিচারিক ক্ষমতা
১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের ১৮ ধারাবলে প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪০ বিধিতে ভিন্ন কিছু উল্লেখ না থাকলে, মৌজা হেডম্যানগণ সংশ্লিষ্ট মৌজার অধিবাসী কর্তৃক আনীত বিরোধীয় সকল বিষয়ের উপর বিচারপূর্বক সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের প্রচলিত সামাজিক রীতি অনুসারে আদিবাসী মোকদ্দমাসমূহের বিচার করবেন। এ ধরণের বিচারে হেডম্যান সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন এবং অন্যায়ভাবে সংগৃহীত বা চোরাই মালামাল ফেরত প্রদানে বাধ্য করতে পারবেন। তা ছাড়া এতদবিষয়ে জেলা প্রশাসকের আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত দোষী ব্যক্তিকে আটক রাখবার আদেশ দিতে পারবেন১৬।
এই বিধিতে ভিন্ন কিছু বর্ণিত না থাকলে সার্কেল চীফ, খাস মৌজার হেডম্যান হিসেবে তাদের নিকট মীমাংসার জন্য উপস্থাপিত বিরোধীয় সকল বিষয়ের উপর বিচার পূর্বক সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারবেন। অনুরূপ আদিবাসী বিরোধসমূহ, যা হেডম্যানদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রেরিত বা হেডম্যানগণ নিজেরাই দাখিল করেছেন সেই বিরোধগুলোও সার্কেল চীফ একইভাবে বিচার নিষ্পত্তি করবেন।
সার্কেল চীফ ৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন এবং অবৈধভাবে লব্ধ কোনো জিনিষ/মালামাল ফেরত প্রদানে বাধ্য করতে পারবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর জেলা প্রশাসকের আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত দোষী ব্যক্তিকে আটক রাখবার আদেশ দিতে পারবেন। আদিবাসী মামলার রায়সমূহের রিভিশন পর্যায়ে সাধারণ অধিক্ষেত্র হিসেবে জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সার্কেল চীফ অথবা হেডম্যান কর্তৃক প্রদত্ত কোনো মামলার রায়ে আরোপিত শাস্তি তারা কার্যকর করতে ব্যর্থ হলে আরোপিত শাস্তি কার্যকর করবার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করতে পারবেন।
সার্কেল চীফ অথবা হেডম্যানগণ কর্তৃক বিচার্য মোকদ্দমায় কোনো কোর্ট ফি প্রদান করতে হবে না। এরূপ মামলায় আরোপিত জরিমানা সংক্ষুব্ধদের মাঝে (যদি থাকে) এবং সামাজিক প্রথা অনুসারে সমষ্টিগতভাবে গ্রামীণ স¤প্রদায়ের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। সামাজিক রীতিসিদ্ধ হলে সমষ্টিগতভাবে বাটোয়ারাকৃত অনুরূপ জরিমানার সমপরিমাণ অংশ সার্কেল চীফ এবং হেডম্যানও পাবার অধিকারী। কিন্তু যেভাবেই হোক না কেন, কোনো নজরানা বা বিচার সম্পর্কিত বিষয়ের জন্য প্রয়োজন এই অজুহাতে অন্য কোনো কিছু আরোপ করা যাবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, সার্কেল চীপ অথবা মৌজা হেডম্যানগণ জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে বিচার সম্পর্কিত ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফিস আদায় করতে পারবেন।
মন্তব্যঃসার্কেল চীফ ও মৌজা হেডম্যানগণ কর্তৃক আদিবাসীদের সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তির এই ক্ষমতা তৎকালীন জেলা প্রশাসক এস.জেড. খানের স্মারক নং- ১২৪৩(৪০০)/সি, রাঙ্গামাটি, তারিখঃ ৫ মে ১৯৬৪ মূলে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বীকার করা হয়েছে।
সময়ে সময়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে, সার্কেল চীফ অথবা হেডম্যানগণ নিম্নের আলোচ্য বিধি মোতাবেক তাদের নিকট বিচারের নিমিত্তে উপস্থাপিত আদিবাসী মামলা ব্যতীত অন্য কোনো ফৌজদারী বা দেওয়ানী মামলার বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী হবেন না।
এই বিধি অনুযায়ী সার্কেল চীফ এবং হেডম্যানগণের সকল রায়ের উপর সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের রিভিশনাল ক্ষমতা এবং সমন্বিত অধিক্ষেত্র থাকবে।
নিম্নে নির্দিষ্টকৃত অপরাধসমূহ অত্র বিধিমতে সার্কেল চীফ ও হেডম্যানের বিচার ক্ষমতা বহির্ভূত, যথাঃ-
(ক) রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অধীনে কর্মরত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ অথবা গণনীতির বিরুদ্ধে অপরাধ।
(খ) মারণাস্ত্রসহ সংঘটিত দাঙ্গা অথবা গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে এমন দাঙ্গা।
(গ) ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংঘটিত নিম্নে বর্ণিত অপরাধ যথাঃ- খুন, অপরাধমূলক নরহত্যা, ইচ্ছাকৃতভাবে কৃতগুরুতর আঘাত, অবৈধ অবরোধ, ধর্ষণ, অপহরণ, মনুষ্যহরণ এবং অস্বাভাবিক অপরাধসমূহ।
(ঘ) বলপূর্বক সম্পত্তি গ্রহণ, দস্যূতা, ডাকাতি, অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ, গৃহে অনধিকার প্রবেশ, অপথে গৃহে প্রবেশ (যখন ৫০ টাকার অধিক মূল্যের সম্পত্তি জড়িত থাকে)।
(ঙ) জালিয়াতি।
(চ) ১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের ৪র্থ পরিচ্ছেদে বর্ণিত ১১ ধারা (আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ দখলে থাকা এবং বারুদ প্রস্তুত করা), ১২ ধারা (দা, বল্লম, তীর, ধনুক ইত্যাদি জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর হেফাজতে রাখা), ১৩ ধারা (বিষাক্ত মাদক হেফাজতে রাখা), ১৪ ধারা (বিদেশী স্পিরিট ও চোলাই মদ জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে হেফাজতে রাখা), ১৫ ধারা (স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত স্পিরিট ও চোলাই মদ লাইসেন্স ব্যতিরেকে বিক্রয় করা) ইত্যাদি অপরাধ।
(বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০ সনের ২০নং আইনের ১০(২)(খ) ধারায় নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হয়েছেঃ রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসমূহের আদিবাসীগণ কর্তৃক ঐতিহ্যগতভাবে প্রস্তুতকৃত মদ, উক্ত জেলাসমূহের আদিবাসীগণ কর্তৃক পান করার ক্ষেত্রে, এই উপধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হবে না)।
(ছ) জেলা প্রশাসক কর্তৃক নির্ধারণ করে দেয়া হবে সে সকল বা সে সকল শ্রেণীর অন্যান্য অপরাধ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস